১০ কোটি পাউন্ড জরিমানা হতে পারে ম্যারিয়টের
ডিটেকটিভ প্রযুক্তি ডেস্ক
মার্কিন হোটেল গ্রুপ ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালকে প্রায় ১০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড জরিমানা করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্যের এক নীতিনির্ধারক সংস্থা।
ম্যারিয়টে সাইবার হামলায় হোটেলের প্রায় ৩৩ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। ২০১৪ সালে এই ঘটনা ঘটলেও প্রায় চার বছর গোপন রাখার পর এটি সামনে আসে ২০১৮ সালে। ওই হ্যাকিংয়ের কারণেই প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
একদিন আগেই আরেকটি তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ১৮ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছে ইনফরমেশন কমিশনার’স অফিস (আইসিও)।
আগের বছরই কাজ শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর)।
ম্যারিয়টে তথ্য ফাঁসের ঘটনার শিকার হন ইউরোপের তিন কোটি গ্রাহক। তিন বছর আগে স্টারউড নামে প্রতিদ্বন্দ্বী হোটেল গ্রুপ অধিগ্রহণ করে ম্যারিয়ট। তথ্য ফাঁসের ঘটনা ওখানেই ঘটেছে বলে জানানো হয়। এরপর থেকে এই বুকিং ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট আর্নি সোরেনসন বলেন, “আইসিও’র পক্ষ থেকে এমন উদ্দেশ্যের নোটিশ পেয়ে আমরা হতাশ। এই ঘটনার তদন্তে পুরো সময় ধরে ম্যারিয়ট আইসিও’র সহযোগিতা করেছে, এর মধ্যে স্টারউডের অতিথি রিজার্ভেশন ডেটাবেইজে হামলার বিষয়ও রয়েছে।”
“আমরা খুব দুঃখিত যে এই ঘটনা ঘটেছে। গোপনীয়তা এবং অতিথির তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেই এবং অতিথিরা ম্যারিয়টের কাছ থেকে যেমনটা আশা করে তেমন মান আনতে আমরা কাজ করে যাবো।”
অন্যদিকে আইসিও’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যারিয়ট স্টারউডের ডেটা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে পারেনি এবং তাদের ব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
ইনফরমেশন কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহাম বলেন, “জিডিপিআর স্পষ্ট করেই বলেছে যে, সংস্থাগুলো যে ব্যক্তিগত ডেটা মজুদ করে তার দায়িত্ব তাদেরই।”
“এর মধ্যে কোনো ব্যবসা অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে যথাযথ পর্যালোচনা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে তার ঝুঁকির দিকগুলো বিবেচনার বিষয়গুলোও রয়েছে।”